জন্মের পর থেকেই মাহাথির মোহাম্মদ শারীরিকভাবে সমস্যায় ভুগছেন । তবুও দমে যাননি তিনি। সুদূর বগুড়া থেকে শনিবার হুইল চেয়ারে বসে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মাহাথির পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। এই বছর বগুড়া সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন। তার পিতা মো: ফজলুর রহমান, মা মোসা: জোসনা বেগম।
মাহাথির বড় হয়ে শিক্ষকতা করতে চান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বড় হয়ে একজন কলেজের শিক্ষক হতে চাই। পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ হয়েছে এবং আমার পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমি পাশ করতে করবো।’
মাহাথির মোহাম্মদ এর মা মোসা: জোসনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে জন্মের পর থেকেই এ সমস্যায় ভুগছে। ছোট বেলায় বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ইচ্ছা থাকলেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখার চাপ বেশী থাকায় তার ইচ্ছাতেই মানবিক বিভাগে ভর্তি করি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা যেনো সমাজের বোঝা না হয়। আমি আমার ছেলের সাফল্য দেখে যেতে চাই।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মহাথির মোহাম্মদের মতো আরেকজন হলেন শাকিল শান্ত। জন্মের পর থেকেই শাকিল শান্ত হাতের সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে সে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে।
শাকিল শান্ত পরিবারের ছোট সন্তান। তার বাবা পেশায় একজন কৃষক। তিনি তার পথচলার ব্যাপারে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চাই। বিসিএস এর মাধ্যমে আমি একজন ম্যাজিস্ট্রেট হতে চাই। আমার এক হাতে সমস্যা থাকলেও চলাফেরার পথে নিজেকে অন্যদের মতই স্বাভাবিক মনে হয়।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।